পাপুয়া নিউ গিনির আদ্যোপান্ত
পাপুয়া নিউ গিনি এর আদ্যোপান্ত।
পাপুয়া নিউ গিনি পৃথিবীর স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ। এই দেশ সংবাদে খুব কম আসলেও এটির প্রভাব বিশ্বে ঠিকই রয়েছে। আজকে পাপুয়া নিউ গিনি সম্পর্কে জানবো।
পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপের নাম পাপুয়া নিউ গিনি (New guinea) আর প্রথম বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড।আফ্রিকার গিনি অঞ্চলের মানুষের সাথে এখানকার মানুষের মিল থাকায় এর নাম দেয়া হয় নয়া গিনি। যার অবস্থান ওশেনিয়া মহাদেশে। নিউ গিনি দ্বীপের আয়তন ৭৮৫,৭৫৩ বর্গকিলোমিটার। এই দ্বীপের প্রায় অর্ধেকাংশ নিয়েই গঠিত হয়েছে পাপুয়া নিউগিনি। আর এই দ্বীপের ওয়েস্ট পাপুয়া ও পাপুয়া অঞ্চল ইন্দোনেশিয়ার অন্তর্ভুক্ত।
অতএব দেখা যাচ্ছে পাপুয়া নিউগিনির সাথে ল্যান্ড বর্ডার আছে শুধুমাত্র ইন্দোনেশিয়ার সাথে। পাপুয়া নিউগিনি অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ১১১কিমি দূরে অবস্থিত। পাপুয়া নিউ গিনির ৬০০ এরও অধিক দ্বীপ রয়েছে যা ছড়িয়ে রয়েছে মেলানেশিয়া অঞ্চল জুড়ে। আর এর স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপের নাম বুগেনভিল,যার অবস্থান সলোমোন দ্বীপপুঞ্জের নিকটে। শুরুতে বুগেনভিল স্বাধীন রাষ্ট্র হতে চাইলেও পরে এটিকে পাপুয়া নিউগিনির সাথে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
১৮৮৪ সাল থেক শুরু করে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত পাপুয়া নিউ গিনি বহির্শক্তি দ্বারা পরিচালিত হয়। এটি ষাট অধিক বছরের চাইতেও বেশি সময় অস্ট্রেলিয়ার উপনিবেশ ছিলো। পরে ১৯৭৫ সালে এটি নিজের সার্বভৌমত্ব অর্জন করতে সক্ষম হয়। পাপুয়া নিউ গিনি কমনওয়েলথ এর সদস্য দেশ।
পাপুয়ানিউগিনি পৃথিবীর অন্যতম বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির দেশ। এর আয়তন ৪৬২,৮৪০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের ৫৪তম বৃহৎ রাষ্ট্র। আর জনসংখ্যা ৮৫ লক্ষের অধিক। জনসংখ্যার দিক থেকে এটি বিশ্বের ১০১তম বৃহৎ রাষ্ট্র। পাপুয়া নিউগিনির মাত্র ১৮% মানুষ শহরে বাস করে আর বাকি ৮মিলিওনের অধিক মানুষ আদিম জীবনযাপন করে। পাপুয়া নিউগিনি তে ৮৫০টিরও অধিক ভাষা রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি ভাষা বহুল প্রচলিত। নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য এরা একটা কৃত্রিম ভাষার সাহাজ্য নেয় যার নাম পিজিন (pisin/pidgin)। যার ইংরেজির একটি সহজরুপ হিসেবে খ্যাত। পাপুয়া নিউগিনির বেশিরভাগ জনগোষ্ঠী পাপুয়ান তবে কিছু সংখ্যক লোক সলোমন আইল্যান্ডের। পাপুয়া নিউ গিনির এমন কিছু অঞ্চল আছে যেখানে এখনো মানুষের পা পড়েনি। এমন কিছু উপজাতি আছে যারা বাইরের মানুষের সাথে কখনো যোগাযোগ করে নি।
পাপুয়া নিউ গিনির প্রাণী বৈচিত্রও খুবই চমৎকার। এখানকার পাখি প্রজাতি খুবই বিচিত্র যা পৃথিবীর আর কোথাও খুজে পাওয়া যায় না। যাদের মধ্যে বার্ডস অফ প্যারাডাইজ প্রজাতিটি খুবই চমৎকার। রিবন টেইল্ড আস্ত্রাপিয়া,স্টেফিনির আস্ট্রাপিয়া,পাপুয়ান ঈগল, রেড সাতিনবার্ড ইত্যাদি। তাছাড়া প্রাণী বৈচিত্রও অদ্ভুত। এখানে নানারকম বানর প্রজাতির দেখা মেলে। তবে এখানের এক বিশেষ যায়গায় ডাইনোসরের মত বৃহদাকার প্রাণী আছে বলে এমন দাবী করে থাকে স্থানীয় কিছু লোক। তবে এর কোনো ডকুমেন্টেড প্রমাণ এখন অব্দি পাওয়া যায় নি।
বুগেইনভিল ও পাপুয়ানিউগিনি
শুরুতেই বুগেনভিল সম্পর্কে বলেছি যে এটি পাপুয়ানিউগিনির একমাত্র সায়ত্তশাসিত অঞ্চল। এটি শুরুতে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চাইলেও এটিকে পাপুয়া নিউ গিনির অধিভুক্ত হতে হয়। এই অঞ্চলে প্রচুর তামাসহ বিভিন্ন খনিজ পদার্থ রয়েছে। পাপুয়া নিউগিনি এখানে তামা উত্তোলন করলে বুগেনভিল বাধা দিয়ে বলে যে এটা তাদের অঞ্চলের পরিবেশকে নষ্ট করছে এবং এই তামার পূর্ণ অর্থ পাপুয়া নিউ গিনি নিজে গ্রহন করছে। এজন্য বুগেনভিলে পাপুয়া নিউগিনিকে হস্তক্ষেপ করতে দেয়া হয় না। বর্তমানে বুগেনভিলে স্বাধীনতার জন্য গনভোটের আয়োজন করা হয়েছে। আপনি যখন আর্টিকেলটি পড়ছে হয়তো এতক্ষনে বুগেনভিল আলাদা দেশ হয়েও গেছে।
পাপুয়ানিউগিনি মূলত উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পরেম। এর জিডিপির মূল ভিত্তি হচ্ছে কৃষিখাত। ট্যুরিজম থেকেও বর্তমানে ভালো আয় হচ্ছে। দেশটির এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে যেতে আকাশপথই বেশি জনপ্রিয়। কারণ এতে খুবই কম সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়। আর দেশটির প্রতিটি দ্বীপে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বহু ছোট-বড় এয়ারপোর্টে রয়েছে। তাছাড়া মহাসড়ক গুলো এর প্রায় ৭০% জায়গা সংযুক্ত করেছে।
পাপুয়া নিউ গিনি পৃথিবীর স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ। এই দেশ সংবাদে খুব কম আসলেও এটির প্রভাব বিশ্বে ঠিকই রয়েছে। আজকে পাপুয়া নিউ গিনি সম্পর্কে জানবো।
পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপের নাম পাপুয়া নিউ গিনি (New guinea) আর প্রথম বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড।আফ্রিকার গিনি অঞ্চলের মানুষের সাথে এখানকার মানুষের মিল থাকায় এর নাম দেয়া হয় নয়া গিনি। যার অবস্থান ওশেনিয়া মহাদেশে। নিউ গিনি দ্বীপের আয়তন ৭৮৫,৭৫৩ বর্গকিলোমিটার। এই দ্বীপের প্রায় অর্ধেকাংশ নিয়েই গঠিত হয়েছে পাপুয়া নিউগিনি। আর এই দ্বীপের ওয়েস্ট পাপুয়া ও পাপুয়া অঞ্চল ইন্দোনেশিয়ার অন্তর্ভুক্ত।
অতএব দেখা যাচ্ছে পাপুয়া নিউগিনির সাথে ল্যান্ড বর্ডার আছে শুধুমাত্র ইন্দোনেশিয়ার সাথে। পাপুয়া নিউগিনি অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ১১১কিমি দূরে অবস্থিত। পাপুয়া নিউ গিনির ৬০০ এরও অধিক দ্বীপ রয়েছে যা ছড়িয়ে রয়েছে মেলানেশিয়া অঞ্চল জুড়ে। আর এর স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপের নাম বুগেনভিল,যার অবস্থান সলোমোন দ্বীপপুঞ্জের নিকটে। শুরুতে বুগেনভিল স্বাধীন রাষ্ট্র হতে চাইলেও পরে এটিকে পাপুয়া নিউগিনির সাথে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
১৮৮৪ সাল থেক শুরু করে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত পাপুয়া নিউ গিনি বহির্শক্তি দ্বারা পরিচালিত হয়। এটি ষাট অধিক বছরের চাইতেও বেশি সময় অস্ট্রেলিয়ার উপনিবেশ ছিলো। পরে ১৯৭৫ সালে এটি নিজের সার্বভৌমত্ব অর্জন করতে সক্ষম হয়। পাপুয়া নিউ গিনি কমনওয়েলথ এর সদস্য দেশ।
পাপুয়ানিউগিনি পৃথিবীর অন্যতম বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির দেশ। এর আয়তন ৪৬২,৮৪০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের ৫৪তম বৃহৎ রাষ্ট্র। আর জনসংখ্যা ৮৫ লক্ষের অধিক। জনসংখ্যার দিক থেকে এটি বিশ্বের ১০১তম বৃহৎ রাষ্ট্র। পাপুয়া নিউগিনির মাত্র ১৮% মানুষ শহরে বাস করে আর বাকি ৮মিলিওনের অধিক মানুষ আদিম জীবনযাপন করে। পাপুয়া নিউগিনি তে ৮৫০টিরও অধিক ভাষা রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি ভাষা বহুল প্রচলিত। নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য এরা একটা কৃত্রিম ভাষার সাহাজ্য নেয় যার নাম পিজিন (pisin/pidgin)। যার ইংরেজির একটি সহজরুপ হিসেবে খ্যাত। পাপুয়া নিউগিনির বেশিরভাগ জনগোষ্ঠী পাপুয়ান তবে কিছু সংখ্যক লোক সলোমন আইল্যান্ডের। পাপুয়া নিউ গিনির এমন কিছু অঞ্চল আছে যেখানে এখনো মানুষের পা পড়েনি। এমন কিছু উপজাতি আছে যারা বাইরের মানুষের সাথে কখনো যোগাযোগ করে নি।
পাপুয়া নিউ গিনির প্রাণী বৈচিত্রও খুবই চমৎকার। এখানকার পাখি প্রজাতি খুবই বিচিত্র যা পৃথিবীর আর কোথাও খুজে পাওয়া যায় না। যাদের মধ্যে বার্ডস অফ প্যারাডাইজ প্রজাতিটি খুবই চমৎকার। রিবন টেইল্ড আস্ত্রাপিয়া,স্টেফিনির আস্ট্রাপিয়া,পাপুয়ান ঈগল, রেড সাতিনবার্ড ইত্যাদি। তাছাড়া প্রাণী বৈচিত্রও অদ্ভুত। এখানে নানারকম বানর প্রজাতির দেখা মেলে। তবে এখানের এক বিশেষ যায়গায় ডাইনোসরের মত বৃহদাকার প্রাণী আছে বলে এমন দাবী করে থাকে স্থানীয় কিছু লোক। তবে এর কোনো ডকুমেন্টেড প্রমাণ এখন অব্দি পাওয়া যায় নি।
বুগেইনভিল ও পাপুয়ানিউগিনি
শুরুতেই বুগেনভিল সম্পর্কে বলেছি যে এটি পাপুয়ানিউগিনির একমাত্র সায়ত্তশাসিত অঞ্চল। এটি শুরুতে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চাইলেও এটিকে পাপুয়া নিউ গিনির অধিভুক্ত হতে হয়। এই অঞ্চলে প্রচুর তামাসহ বিভিন্ন খনিজ পদার্থ রয়েছে। পাপুয়া নিউগিনি এখানে তামা উত্তোলন করলে বুগেনভিল বাধা দিয়ে বলে যে এটা তাদের অঞ্চলের পরিবেশকে নষ্ট করছে এবং এই তামার পূর্ণ অর্থ পাপুয়া নিউ গিনি নিজে গ্রহন করছে। এজন্য বুগেনভিলে পাপুয়া নিউগিনিকে হস্তক্ষেপ করতে দেয়া হয় না। বর্তমানে বুগেনভিলে স্বাধীনতার জন্য গনভোটের আয়োজন করা হয়েছে। আপনি যখন আর্টিকেলটি পড়ছে হয়তো এতক্ষনে বুগেনভিল আলাদা দেশ হয়েও গেছে।
পাপুয়ানিউগিনি মূলত উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পরেম। এর জিডিপির মূল ভিত্তি হচ্ছে কৃষিখাত। ট্যুরিজম থেকেও বর্তমানে ভালো আয় হচ্ছে। দেশটির এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে যেতে আকাশপথই বেশি জনপ্রিয়। কারণ এতে খুবই কম সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়। আর দেশটির প্রতিটি দ্বীপে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বহু ছোট-বড় এয়ারপোর্টে রয়েছে। তাছাড়া মহাসড়ক গুলো এর প্রায় ৭০% জায়গা সংযুক্ত করেছে।
Comments
Post a Comment