মার্কেটপ্লেসে আয়ের সেরা পাঁচটি কাজ





অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়তে সবাই ঝুকছে ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে। আর নিজের ভার্চুয়াল প্রোডাক্ট বিক্রি করতে বেছে নিচ্ছে অনলাইন মার্কেটপ্লেস। নির্দিষ্ট কাজের প্রতি দক্ষতা লক্ষ্য অটুট আর ধৈর্য থাকলেই সহজেই নিজের স্বপ্নের শেখরে পৌছানো সম্ভব।

 মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। আপনি এই মার্কেটপ্লেসগুলি ঘাটেই দেখতে পারেন কত রকমের কাজ সেখানে পাওয়া যায়। সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসের কাতারে রয়েছে ফাইভার (Fiverr),ফ্রিল্যান্সার (  freelancer),আপওয়ার্ক ( upwork) ইত্যাদি। নিজে এমন সেরা সাতটি কাজ দেয়া হলো যেগুলো তুলনামূলক সহজ। এগুলোর থেকে যেকোনো একটি নিয়ে শুরু করতে পারেন আপনার অনলাইন আয়ের যাত্রা।
# ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েব ডিজাইনিং
বর্তমানে প্রতিনিয়ত প্রায় সবকাজের জন্যই একটি ওয়েবসাইটের প্রয়োজন। আর এই প্রয়োজনবোধ থেকেই ওয়েবসাইট তৈরি করার প্রয়োজন পরে। ওয়েবসাইট তৈরি করার সহজ ও সহজলভ্য হলো কোনো সিএমএস বা কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সাইট দ্বারা। আর ওয়ার্ডপ্রেস হলো সবথেকে সহজ  আর বিখ্যাত সিএমএস। তাই সবাই ঝুকে থাকে এর দিকে।

আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যাবহার করে সুন্দর ওয়েবসাইট ডিজাইন করে থাকেন তাহলে আপনি মার্কেটপ্লেসে বহু কাজের সুজোগ পাবেন। কারণ বর্তমানে প্রায় সবারই ব্যাক্তিগত বা ব্যাবহারিক প্রয়োজনে ওয়েবসাইটের প্রয়োজন পড়ছে।ওয়ার্ডপ্রেসে প্রফেশনাল মানের ওয়েবসাইট ডিজাইনের বহু টিউটোরিয়াল আপনি ফ্রিতে ইউটিউবেই পেয়ে যাবেন।

তাছাড়া আমাদের দেশে অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখান থেকে সহজেই আপনি শিখতে পারবেন  ওয়েবসাইট ডিজাইনিং। আর আপনি কতটাকা আয় করবেন এটা নির্ভর করে আপনার কাজের মানের আর সার্ভিসের উপর। তবে হ্যা আপনি যদি একজন দক্ষ ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েব ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে আপনার পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না।

 লোগো ডিজাইন

লোগো ডিজাইন একটা ক্রিয়েটিভ আর্ট বা সৃজনশীল শিল্প। আপনি যদি এডোবি ইলাস্ট্রেটর বা ফটোশপে দক্ষ হয়ে থাকেন আর লগো ডিজাইনিং সম্পর্কে ধারণা থাকে তাহলে আপনি সহজেই লোগো ডিজাইনিং এর মাধ্যমে মার্কেটপ্লেস থেকে ভালোমানের টাকা আয় করতে পারবেন।

লোগো ডিজাইনের কাজ মার্কেটপ্লেসে ভুরি ভুরি পাওয়া যায়। কারণ সারা পৃথিবীতে উদ্যোকতার সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়ছে আর সেই সাথে বাড়ছে নতুন নতুন বিজনেস কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান। আর লোগো যেহেতু প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রতীক তাই লোগোর প্রয়োজন অনেক। এজন্যই এই চাহিদা থেকেই বায়াররা মার্কেটপ্লেসে ছুটেন। 

আপনি যদি ক্রিয়েটিভ চিন্তা করতে পারেন তাহলে লোগো ডিজাইন আপনার জন্য সোনার ডিম পাড়া হাঁস।

লোগো ডিজাইনিং এর জন্য আপনাকে মাথায় রাখতে হবে কেনো আপনার লোগো লাগবে? লোগোটাকে কিভাবে কোম্পানীর সাথে মেলানো যায়? আর সাধারণ মানুষ লোগোটি দেখে কোম্পানি সম্পর্কে কেমন ধারণা পাবে? এরকম আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা মাথায় রেখে প্রফেশনাল লোগো তৈরি করা সম্ভব।

বাংলাদেশে লগো ডিজাইনিং শেখার এর জন্য অসংখ্য মানসম্মত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে সবথেকে ভালো হয় আপনি যদি ইউডেমি থেকে অনলাইনে কোর্স কিনে শিখেন এতে আপনি কম খরচে ভালোমানে শিক্ষা পাবেন। তবে আপনি যদি ইংরেজিতে দুর্বল থাকেন তাহলে কোনো প্রতিষ্ঠানের কোর্সে ভর্তি হয়ে যান। লোগো ডিজাইন ক্রিয়েটিভ কাজ তাও শুধু শিখলেই হবে না প্রচুর অনুশীলন করে পেশাদারিত্ব আনতে হবে।

এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন)

বর্তমানে প্রচুর ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে।আর এর সাথে বাড়ছে প্রতিযোগিতা। আর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠান কোনো প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রোভাইড করে থাকে অডিয়েন্সের কাছে। তাই এজন্য গুগুলের সার্চ রেজাল্ট পেইজের প্রথম পেইজে থাকা বাঞ্চনীয়।

সাধারণত আমরা গুগলে কোনো কিছু সার্চ করলে প্রথম পেইজেই বরঙ প্রথম সার্চ রেজাল্টেই ক্লিক করি। এজন্য ব্যাবহারকারীর কথা চিন্তা করে সব ওয়েবসাইটকেই গুগলের রেজাল্ট পেইজের প্রথমে থাকতে হয়। আর এই কাজটিই করে থাকে  হলো এসইও। এসইও এর মাধ্যমেই কোনো একটি পেইজকে সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেইজের প্রথমে আনতে হয়।

এসইওর মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ রয়েছে। যেমন অনপেইজ এসইও,কিওয়ার্ড রিসার্সিং,ইমেজ অপ্টিমাইজেশন অফ পেইজ অপ্টিমাইজেশন,লিঙ্ক ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি।
এসইও একটি জনপ্রিয় কাজ মার্কেটপ্লেসে। 

একজন প্রফেশনাল এসইও এক্সপার্ট মাসে প্রচুর ইনকাম করতে পারেন। এজন্য শুধু দরকার দক্ষতা আর অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশে এমন বহু প্রতিষ্ঠান আছে যারা এসইও এর প্রফেশনাল কোর্স করিয়ে থাকেন। তাছাড়া আপনি চাইলেই ইউটিউব থেকেও এসইও শিখতে পারেন তবে এজন্য একটু বেশি সময় লাগা বাঞ্চনীয়।

কন্টেন্ট রাইটিং

কন্টেন্ট রাইটিং বা আরটিকেল লিখা শুধুমাত্র তাদের জন্য যাদের লেখালেখির হাত ভালো। যারা ভালো লেখালেখি করতে পারেন তাদের জন্য মার্কেটপ্লেসে রয়েছে বহু কাজের সম্ভাবনা। একটি প্রফেশনাল ৫০০ শব্দের আর্টিকেল নিম্নে ১০ ডলার চার্জ করে থাকেন প্রফেশনাল রাইটাররা।
লেখালেখি করার জন্য কিছু ব্যাসিক তথ্য জানতে হয়। লেখালেখি এমন একটা দক্ষতা যেটা কোনো নির্দিষ্ট কোর্সের মাধ্যমে শেখা যায় না। চর্চার মাধ্যমে শিখতে হয়। আর প্রতিনিয়ত মান উন্নয়ন হতে থাকে।

লেখালেখির জন্য প্রচুর পড়া আবশ্যক। আপনি সহজেই ফ্যাশন,রেসিপি,প্রডাক্ট রিভিউ ইত্যাদি লিখতে পারেন।

লেখালেখি পারলে শুধু মার্কেটপ্লেস না আপনি নিজের ব্লগ নিজেই শুরু করতে পারেন। যেখানে আপনার লেখার আর্টিকেল পাব্লিশ করবেন পরে গুগল এডসেন্স অথবা অন্য কোনো এডনেটওয়ার্ক যুক্ত করার মাধ্যমে ভালো মানের অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। এজন্য শুধু দরকার ডেডিকেশন ও ধৈর্য।

আর লেখালেখির জন্য আপনার কম্পিউটার না থাকলেও হবে আপনি ফোনের মাধ্যমেই এটি করতে পারবেন।

 ডাটা এন্ট্রি

ডাটা এন্ট্রি কে বলা যেতে পারে কপি পেস্টের কাজ। মার্কেটপ্লেসে এমন কাজ প্রচুর পাওয়া যায়। এগুলো ছোটখাটো কাজ।কমসময়ে অনেক কাজ করতে পারবেন।

ডাটা এন্ট্রি শেখার জন্য অনেক রিসোর্স রয়েছে। ইউটিউবে প্রচুর টিউটোরিয়াল এভেইলেবল। আপনি ইউটিউব থেকেও শিখতে পারবেন। তাছাড়া প্রফেশনাল কোর্সের অনেক ডিভিডিও বাজের পাওয়া যায়।আপনি সেগুলোও যাচাই করতে পারেন।

- Kaiser Nadim

Comments

Popular posts from this blog

মেলানেশিয়া অঞ্চল পরিচিতি

যে পাঁচটি ভাষা সেখা সবচেয়ে কঠিন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রয়কৃত অন্যতম তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল